DailySangram-Logo

কলাম

শাবানেই নিতে হবে রমযানের প্রস্তুতি

অনেকের ধারণা রমযান আসার বেশ দেরি। এখনই রমযান নিয়ে আলোচনার কোন মানে হয় না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং সন্দেহাতীতভাবে রমযান ব্যর্থ করার শয়তানী কৌশলের অংশ। রসুলুল্লাহ (স.)-এর হাদীস অনুযায়ী রমযান হলো ফসল কাটার মাস।

Printed Edition

॥ প্রফেসর ড. মো. আব্দুল্লাহেল বাকী ॥

অনেকের ধারণা রমযান আসার বেশ দেরি। এখনই রমযান নিয়ে আলোচনার কোন মানে হয় না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং সন্দেহাতীতভাবে রমযান ব্যর্থ করার শয়তানী কৌশলের অংশ। রসুলুল্লাহ (স.)-এর হাদীস অনুযায়ী রমযান হলো ফসল কাটার মাস। রজব বীজ বপনের মাস, আর শাবান হলো পরিচর্যার মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রশংসা ও তারই গুণকীর্তন করি। তিনি আমাদেরকে আরও একবার মহিমান্বিত মাহে রমযানের খুবই নিকটে নিয়ে এসেছেন। আর একমাসও বাকি নেই। যারা রমযানকে ভালোবাসেন, রমযান নিয়ে অনেক কিছু করতে চান, তারা রমযানের গন্ধ পাওয়া শুরু করেছেন। ঢাকায় বসে আমের ব্যবসা করে, আম সিজনে ট্রাক নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যায়, আম ট্রাকে ভর্তি করে আবার সাভারে নিয়ে এসে আড়তে দিয়ে দেয়। এটা হলো তার ব্যবসা। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যখন আমের সিজনে আমের গাছে মুকুল আসে, সে সাভারে বসে এটার গন্ধ পায়। যখন এক মুকুল থেকে আরেক মুকুলে মৌমাছি ঘুরে বেড়ায়, তখন সেও এখানে একটু নাচানাচি করে। তার মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তানাদী যারা তাকে খুব কাছে থেকে দেখে শোনে তারাও এটা টের পায়-বোঝে তার এখন দৌড়াদৌড়ির সময় এসে গেছে। সে এখন নবাবগঞ্জের জন্য প্রস্তুতি নিবে। শুধু তাই নয়, তারাও তাকে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। তার কাপড়-চোপড়, জুতা-সেন্ডেল, ব্যাগ-বোচকা, ব্যবসার সরঞ্জামাদী ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে রোদে দেয়।

রমযানের সিজন শুরু হয়ে গেছে। সত্যিই আমরা যারা রমযানকে ভালোবাসি, রমযান প্রেমিক, তাদের এখন মৌমাছির তালে তালে নাচার কথা। মাঝে মধ্যেই একটু গন্ধ পাওয়ার কথা। আমরা অবশ্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করব, আবেদন করব যে তিনি যেভাবে এ পর্যন্ত আমাদেরকে নিয়ে এসেছেন, দয়া করে যেন আর কটা দিন বাঁচিয়ে রাখেন। আর আরও একবার রমযান পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। অতীতের ভুল-ভ্রান্তি দোষ-ত্রুটি সীমাবদ্ধতা যেগুলো ছিল সবকিছুর জন্য তার কাছে করজোড়ে আবেদন ক্ষমা প্রার্থনা, ভুল স্বীকার করা, দোষ-ত্রুটি মেনে নেওয়া এবং এবারের রমযানে যেন আমরা ত্রুটিমুক্ত এবাদত বন্দেগী করতে পারি সেই সাহায্যও একান্তভাবে আমরা কামনা করছি। এসময়ে রমযান প্রেমিকদের অবশ্যই এটা পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, আমরা যারা রমযানের ফসল কাটতে চাই এখন তাদের কী করণীয়। এখন আমরা শাবান মাসের প্রথম অংশে। তাহলে এখন আমাদের পরিচর্যা সম্পর্কে আলোচনা করা উচিত।

শাবানের ১ম করণীয়-চাঁদ দেখার দোয়া। চাঁদ দেখতে পারেননি দোয়া পড়েননি, এখনও পড়ে নিন। এরকম না যে ঐ সময় পড়েননি আর পড়তে পারবেন না। এটা সারাদিন পড়া যায় প্রত্যেক দিন পড়া যায়, যখন তখন পড়া যায়।

নতুন চাঁদ বা মাসের দোয়াÑআল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর। আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা, বিল আমনি ওয়াল ঈমান, ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, ওয়াততাওফিকি লিমা তহিব্বু রব্বুনা ওয়া তারদা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ। হিলালু রুশদিন ওয়া খইর। ভাবার্থ: হে সর্বশ্রেষ্ঠ আল্লাহ, এ নতুন চাঁদ/মাস এবং আমাদের প্রতিপালক। আপনি আমাদের জন্য এ নতুন চাঁদকে/ মাসকে শান্তি, নিরাপত্তা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং আপনার ভালোবাসা ও সন্তুষ্টির উপলক্ষ বানিয়ে দিন। এ চাঁদ হোক আমাদের জন্য আলোকিত জীবন এবং কল্যাণের উৎস।

এ দোয়ার মধ্যেই একটা মাসকে পরিপূর্ণরূপে, সঠিকভাবে, সহজভাবে, সুন্দরভাবে আদায় করার সমস্ত কর্মপরিকল্পনা উল্লেখ রয়েছে। রসুলুল্লাহ (স.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী শাবান হলো রমযানের ফসল কাটার জন্য রজবে যে বীজ বপন করেছি সেই বীজ থেকে যে গাছ বের হয়েছে সে গাছের পরিচর্যা করার মাস। গাছ যদি উঠে থাকে তাহলে পরিচর্যা লাগবে। যদি গাছ উঠে না থাকে কিসের পরিচর্যা? সেজন্য আমাদের দেখতে হবে আমরা কি গাছ বের হওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম? মানে বীজ বপন করেছিলাম? জমি চাষ করেছিলাম? আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় জমি চাষের মাধ্যমে বীজ বপনের যে মাস রজব ফেলে এসেছি সে রজবে আমরা খুবই অসতর্ক ছিলাম। অধিকাংশেরই বীজ বপন হয়নি। তাহলে কী করা উচিত এখন? হয়নি তো হয়নি। কিছু করার নেই। এটা ধরে নিব? নাকি এখনও কিছু করার আছে কিনা, কী করা যায় সেটা করার উদ্যোগ নিব? এ প্রসঙ্গে একটি বিখ্যাত ইংরেজী প্রবাদ-ইবঃঃবৎ ষধঃব ঃযধহ হবাবৎ-সরল অর্থে “না করার চেয়ে দেরিতে করাই ভাল” সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই। ইসলামের একটা মৌলিক বিষয় হলো কখনও হতাশ হবেন না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুযোগ আছে ফিরে আসার। সংশোধন হওয়ার, যেটা বোঝেননি-মানেননি করেননি-ধরেননি সেটা বোঝা-মানা-করা-ধরার।

সে হিসাবে রজবের যে করণীয় আমরা করতে পারিনি সেটা শাবানে করতে হবে। অর্থাৎ জমি চাষ করে বীজ বপন করতে হবে। যে কৃষক সময়মত জমি চাষ ও বীজ বপন করতে পারেনি তাকে জমি চাষ ও বপনের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে। যারা জমি লাগিয়েছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় ব্লক সুপারভাইজার এমনকি কৃষি কর্মকর্তার শরণাপন্ন হতে হবে। রমযানের ফসলের জন্যে জমি চাষ ও বীজ বপন বলতে কি বুঝায় এটা ভাল করে বুঝতে হবে। আমার সীমাবদ্ধ বুদ্ধি-জ্ঞানে জমি চাষ ও বীজ বপন বলতে ৩টি বিষয় বুঝায়-

১। সঠিকভাবে রমযানের গুরুত্ব উপলদ্ধি করা,

২। রমযান সাফল্যে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা,

৩। রমযান সাফল্যে প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করা।

আমরা রজবে এ বিষয়ে কিছুই করতে না পারলেও এখনই যত দ্রুত সম্ভব এগুলি সম্পন্ন করতে হবে। যারা কিছুটা অগ্রগতি করেছেন কিন্তু সবকিছু শেষ করতে পারেননি তারাও অতিসত্বর তা শেষ করার উদ্যোগ নিবেন। এ পর্যায়ে আমি আলোচনা করব যেসব বুদ্ধিমান রজবে জমি চাষ শেষে বীজ বপন করেছেন তারা এখন কি করবেন সে সম্পর্কে। রসূল স. এর হাদিস অনুযায়ী এটাই হলো শাবানের পরিচর্যা।

এক নম্বর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ। ইংরেজিতে মনিটর/সুপারভাইজ/সার্ভে। মাঝে মধ্যে একটু মাঠ ঘুরে আসা। ট্যাগ গজালো কিনা, গাছ বের হলো কিনা! পাখি বসে কিনা, কোন জায়গায় বীজ বেশি পড়েছে সেটা একটু হালকা করতে হবে, কোন জায়গায় পড়েইনি সেখানে আবার একটু ফেলতে হবে ইত্যাদি।

যদি কেউ জমিতে বীজ বপন করে থাকেন তাঁকে মাঠে যেতে ইচ্ছা করবে। যদিও তিনি জানেন ১৫ দিন পরে চারা গজাবে, একমাস পরে চারা একটু বড় হবে, তবুও কিন্তু পরের দিনই তিনি সেখানে যাবেন সেটার টানে। এটাকেই বলে মোহ। তাঁর দেখতে ইচ্ছা করবে-কালকে যে বীজটা ফেল্লাম সেটার কী হলো? কেউ জিজ্ঞাসা করল-কী ভাই কোথায় যান, জমিতে লাগিয়ে ফেলেছেন। মুচকি হেসে তিনি জবাব দিবেন, একটু ঘুরে আসি। আরে ভাই কালকেই বীজ ফেললেন, আজকেই যেয়ে কি করবেন। উত্তর দিবেন, আরে যাই একটু, দেখে আসি। সুতরাং ইতোমধ্যে যারা বীজ ফেলেছি এখন মাঝে মধ্যেই একটু ঘুরে আসতে হবে, একটা চক্কর দিতে হবে। এক আইল দিয়ে ঘুরে আরেক আইল দিয়ে ঘুরে চলে আসবেন। তবুও যাবেন। এ ঘুরাঘুরির মধ্যেই একদিন দেখবেন চারা বের হয়েছে, পনের দিন পর দেখবেন একটু ঘাস গজাচ্ছে, একটু পানির সমস্যা, সারও লাগবে মনে হয় দু-চার দিনের মধ্যে। ইত্যাদি। দিন যত যাবে শাবনের পচির্যার বিষয়াদী ততই জটিল ও বিস্তারিত হবে। এভাবে ফসল কাটার দিকে যতই আগাবেন ততই শত্রু-ঝামেলা, দায়-দায়িত্বও বাড়বে। পরবর্তী পর্যায়ে এসব নিয়ে আলোচনা করা যাবে ইনশা আল্লাহ।

এখন আমি রজবে জমি লাগিয়ে শাবানের এ সময়ে যারা কিছুটা হালকা হয়ে গেছি, তেমন কোন টেনশন বা চাপ নাই, একটু ফুরফুরা ভাব, একটু জামাই জামাই আমেজ, সে সময়ে প্রতিবেশী-আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব যারা জমি লাগাতে পারেনি আপনি ইচ্ছে করলে তাদের পিছনে একটু সময় দিতে পারেন, উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারেন। আপনার লাঙ্গল- বীজ-এমনকি লেবার দিয়ে তাকে জমিটা লাগানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। আপনার অভিজ্ঞতা, সুযোগ-সুবিধা, সরঞ্জামাদি, সাহস, বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে আপনি সাহায্য করে তাকে জমি লাগানোর ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। যারা জমি না লাগাতে পারার কারণে হা-হুতাশ করছে, দিশা পাচ্ছে না, তাদের পাশে দাঁড়ান। আরো ভাল কিছু করতে চাইলে জমি লাগিয়ে হালকা হওয়া এলাকার সবাইকে একত্রিত করে যারা জমি লাগায়নি তাদের পাশে দাঁড়ানোর আয়োজন করতে পারেন। এভাবে ইনশাআল্লাহ আপনাদের সহযোগিতায় তাদেরও জমি লাগানো শেষ হবে। একযোগে সবাই যুক্ত হবেন পরিচর্যার ধাপে। শেষ পর্যন্ত সবাই ভোগ করবেন ফসল কাটার আনন্দ ও ফলাফল।

ভালভাবে মনে রাখতে হবে আশপাশের সবার জমি চাষহীন, শুধু আমারটাতেই ফসল। তাহলে কিন্তু আমারোও খবর আছে। ফসলের সিজনে যতরকম আপদ বিপত্তি সব জমিতে ফসল থাকলে সেগুলিও ভাগ হয়ে যেত। এখন সবগুলিই শুধু আমার জমিতেই চড়াও হবে। তারা জমি না লাগিয়ে ফসলহীন, আর আমি জমি লাগিয়েও ফসলহীন। কার ক্ষতি-আফসোস বেশি বুঝে নিয়েন। অন্যদিকে আমাদের চেষ্টায় যারা জমি চাষ করবে, ফসল পাবে, তারা অবশ্যই আমাদেরকেই সব কৃতিত্ব দিবে, সম্মানিত করবে। সুখ-সমৃদ্ধি-সহযোগিতার এক অন্যরকম উদাহরণ তৈরি হবে। এ প্রসঙ্গে এখন অন্যরকম এক উপলব্ধির কথা পাঠকের সঙ্গে শেয়ার করছি।

আমি একজন কৃষি অফিসার। সরকারের নির্দেশ, আমার উপজেলায় কোন জমি যেন চাষবিহীন না থাকে। নতুবা আমার চাকরি থাকবে না, প্রমোশন হবে না, বেতন পাব না। আমি ব্লক সুপারভাইজারসহ আমার অধীনস্থ সকল কর্মচারীকে বলে দিয়েছি আমার এলাকায় যেন কোন জমি চাষবিহীন না থাকে, পড়ে না থাকে। তন্ন তন্ন করে খুঁজে যাদের জমি পড়ে আছে তাদের জমি লাগানোর ব্যবস্থা করতে বলব। কোন জটিলতা হলে তাদেরকে আমার কাছে নিয়ে আসতে বলব। আমি তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে শাসন করে রাগ করে ভালোবাসা দিয়ে জমি চাষ করার ব্যবস্থা করছি। আমি কোনক্রমেই ভাবছি না যে ওরা জমি চাষ করেনি তো আমার কী? বরং আমি দায়িত্ব নিয়েছি আমার এলাকায় কারো জমি পড়ে থাকবে না। তাহলে আমার প্রমোশন হবে, আমার বেতন বাড়বে, সম্মান ইজ্জত বাড়বে। প্রয়োজনে আমি নিজে মোটরসাইকেল-সাইকেল-ভ্যান গাড়িতে ঘুরে বেড়াই। কার জমি পড়ে আছে, তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করি, বুঝাই, অফিসে নিয়ে আসি। তাদেরকে পথ বাতলে দিই, সহযোগিতা করি, দরকার হলে অফিসের পিয়ন দিয়ে বীজ দিয়ে আসি। টাকা-পয়সা না থাকলে ঋণ দিই। আমার উপজেলার কোন জমি পড়ে থাকেনি, ফলন ভাল হয়েছে। দিন শেষে আমি দেশের শ্রেষ্ঠ কৃষি অফিসারের সম্মান পেয়েছি, পদোন্নতি হয়েছে। আসুন আমরা সবাই রমযান সাফল্যে এ সম্মানিত কৃষি অফিসারের ভমিকায় অবতীর্ণ হই। রমযান সাফল্যে শাবানের পরিচর্যার বিষয়াদীকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। আজকে আমি ১ম অংশে যা করণীয় তা উল্লেখ করছি-

য় বিগত রমযান পর্যালোচনা করে সেখানের লাভ-ক্ষতির বিষয় ও জায়গাগুলি বিশ্লেষণ করতে হবে।

য় এবারের সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সমস্যা ও সম্ভাবনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি চিহ্নিত করতে হবে।

য় ব্যক্তিগত, পারিবারিক, আত্মীয়-স্বজন, প্রতবেশী, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, গ্রাম/ এলাকা/ প্রতিষ্ঠান/ দেশ/ পৃথিবী যার যার অবস্থা অনুযায়ী পরিকল্পনার উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে হবে।

য় ক্ষেত্র অনুযায়ী পরিকল্পনার বিষয়াদী নির্বাচন করতে হবে।

শাবান মাসের মধ্য রজনী বা লাইলাতুম মিন নিসফুম মিন শাবানের মধ্যে এ সব প্রস্তুতি ও পর্যালোচনা সম্পন্ন করা যেতে পারে। পরবর্তী ৭-১০ দিনের মধ্যে ২য় ধাপের পরিচর্যা আর শাবানের শেষ সপ্তাহের ভিতরে ৩য় বা চূড়ান্ত ধাপের পরিচর্যা সম্পন্ন করা উচিত। এসব নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে রমযান সফল করতে শাবানে করণীয় সঠিকভাবে সম্পাদন করার তওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : সাবেক অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।