DailySangram-Logo-en-H90

ইউরোপ

রুশ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুতিনের

রুশ সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে তার দেশের সেনারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় লড়াই করছে।

সংগ্রাম ডেস্ক
Printed Edition
P

২৩ ফেব্রুয়ারি,, সিনহুয়া,মস্কো টাইমস, আনাদোলু এজেন্সি, আরব নিউজ: রুশ সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে তার দেশের সেনারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় লড়াই করছে। কিয়েভের বিরুদ্ধে মস্কোর অভিযানের তৃতীয় বার্ষিকীর প্রাক্কালে রবিবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন। ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় পুতিন বলেন, আজ তারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে মাতৃভূমি, জাতীয় স্বার্থ এবং রাশিয়ার ভবিষ্যৎ রক্ষায় লড়াই করছে। তিনি জানান, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী ও উন্নত করার কৌশল অপরিবর্তিত থাকবে।

পুতিনের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বছরে পা রাখতে যাচ্ছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়া তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং এই চুক্তির মাধ্যমে তিন বছরের পুরনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে সক্ষম হবেন। তিনি শনিবার দক্ষিণ লনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এই সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধের অবসান হতে পারে।

ইউক্রেনে একরাতেই আড়াই শতাধিক ড্রোন দিয়ে হামলা: ইউক্রেনে একরাতেই আড়াই শতাধিক ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ ড্রোন হামলার ঘটনা। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী রবিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাত জানিয়েছেন, প্রায় তিন বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর একরাতেই রেকর্ড ২৬৭টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৮টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার অর্থ ফেরত চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘যেকোনও কিছু’ পেতে চায়।

শনিবার মার্কিন কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া কয়েকশ’ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তার ‘প্রত্যাবর্তন’ তিনি নিশ্চিত করতে চান। এর জন্য ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি ‘প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখনও এই চুক্তির খসড়া মেনে নিতে প্রস্তুত নন। ট্রাম্প বলেন, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু চাই, কারণ আমরা অনেক অর্থ দিয়েছি। তাই আমরা বিরল খনিজ এবং তেল চাই— যা কিছু পাওয়া যায়! তিনি দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে, তা মূলত ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই সুবিধা পায়নি। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। তবে জার্মানির কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এই সহায়তার পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।