আন্তর্জাতিক
গাজায় আবারও আগ্রাসন শুরুর হুঁশিয়ারি
যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ের এক মাস না পেরোতেই সোমবার বিনা মেঘে বজ্রপাত। ভিডিও বার্তায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে হামাস।
![netanyahu-768x402](https://static.dailysangram.com/images/netanyahu-768x402.original.png)
আগামী শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাস বাকি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে, গাজায় আবারও আগ্রাসন শুরুর হুঁশিয়ারি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর। এরআগে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে বন্দী বিনিময় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে হামাস।
তবে আসলেই কী ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে? এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। যেখানে উঠে এসেছে হামাসের দাবির সত্যতা ও নেতানিয়াহুর দুরভিসন্ধি।
যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়ের এক মাস না পেরোতেই সোমবার বিনা মেঘে বজ্রপাত। ভিডিও বার্তায় ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে হামাস।
এসময় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি। জানানো হয়, উপত্যকার উত্তরে ফেরার পথে ফিলিস্তিনিদের ওপর গোলাবর্ষণ করেছে আইডিএফ। পাশাপাশি মানবিক সহায়তার বহরে দেয়া হচ্ছে বাধা।
হামাসের দাবির সত্যতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির দাবি, যুদ্ধবিরতির পরও প্রতিদিনই হত্যা করা হচ্ছে উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতিতে উপত্যকায় ১২ হাজার ট্রাক পৌঁছানোর কথা। তবে পৌঁছেছে মাত্র সাড়ে ৮ হাজার ট্রাক।
২ লাখ তাঁবু সরবরাহের কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ১০ শতাংশ। এমনকি প্রতিশ্রুত ৬০ হাজার ভ্রাম্যমাণ আবাস তৈরির কোনো চিহ্নও নেই। প্রতিদিন ৫০ জন করে ১ হাজার গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসার জন্য অন্য দেশে পাঠানোর চুক্তিতে সম্মতি দেয় ইসরাইল। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এ কয়েকদিনে চিকিৎসা নিতে দেশ ছাড়তে পেরেছেন মাত্র ১২০ জন। অর্থাৎ প্রতিটি চুক্তিই ভঙ্গ করেছে ইসরাইল।
হামাস জানিয়েছে, চুক্তি মানার বিষয়ে ইসরাইলের পক্ষ থেকে সম্মতি পেলে আবারো শুরু হবে বন্দী বিনিময়। ইচ্ছাকৃতভাবে ৬ষ্ঠ দফায় নির্ধারিত জিম্মিদের মুক্তির পাঁচ দিন আগেই বিনিময় স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। এতে করে মধ্যস্ততাকারীদের সঙ্গে সমঝোতা করতে সময় পাবে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি কূটনীতিকদের শঙ্কা, হামাসের সিদ্ধান্তকে পুঁজি করে আবারো যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিতে পারেন নেতানিয়াহু।