দুঃসময়ে সেনাবাহিনীই আমাদের শক্তি --- মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের শক্তি। সবসময় দেখেছি, জাতির দুঃসময়ে তারা এগিয়ে আসে। সবাইকে ধৈর্যধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাই ধৈর্যধরবেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। দেশের সব মানুষকে আহ্বান জানাই, কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে, তর্ক-বিতর্ক বন্ধ করে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। জাতির ঐক্যবদ্ধ থাকার মধ্য দিয়ে আমরা একটি কাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছাতে পারি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে যখন পুরো জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন আক্রমণ করেছে, গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন সেনাবাহিনীর একজন অখ্যাত মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করে পুরো জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক বাহিনীর ভূমিকা পালন করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে শক্ত হাতে সরকার পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনি শক্ত হাতে আপনার সরকার পরিচালনা করুন। কেউ যেন এই কথা না বলে, আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব, সংস্কার যেটা ন্যূনতম প্রয়োজন সেটা সম্পন্ন করে নির্বাচনের এগিয়ে যান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে পটপরিবর্তন হয়েছে, দেশকে নতুন করে গড়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেটিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকে তিনি চক্রান্ত করছেন কী করে বিজয়ের সব ফলাফল নস্যাৎ করে দেওয়া যায়। আমরা বারবার করে বলছি, দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলে কোনোমতেই স্থিতিশীলতা আসবে না।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, ইসতিয়াক আজিজ উলফাৎ, আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।