রাজনীতি
গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুব সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে ---মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয়। এই বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয়ের সূচনা হয়েছে।
Printed Edition
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয়। এই বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার বিজয়ের সূচনা হয়েছে। এই বিজয় পূর্ণাঙ্গ হবে যখন বাংলার জমিনের আল্লাহর বিধান কায়েম হবে। যখন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে তখন মানুষ ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার পাবে। অধিকার পেতে মানুষকে তখন আর রক্ত দিতে হবে না, জীবন দিতে হবে না। এখন আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য যে সংগঠন আন্দোলন করে আসছে, সেই সংগঠনের দিকে মানুষ দলে-দলে ধাবিত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে কারো কারো জ্বালা বেড়ে গেছে, কেউ কেউ নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এদেশের জনগণই তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। গত বৃহস্পতিবার কাটিপাড়া ফুটবল ময়দান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাইকগাছা উপজেলার ৮নং রাড়ুলী ইউনিয়ন যুব বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাড়ুলী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাফেজ তৌহিদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব বিভাগের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা এস কে মহিববুল্লাহর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা এস এম আমিনুল ইসলাম ও অধ্যাপক নুরুজ্জামান মল্লিক, জেলা ইউনিট সদস্য মাওলানা শেখ কামাল হোসেন ও অধ্যাপক আব্দুল মোমিন সানা, খুলনা জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবু জার আল গিফারি, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা বুলবুল আহম্মেদ, উপজেলা সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেন প্রমুখ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১৭ বছর জামায়াতের নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। এ গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুব সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যুব সমাজ তাই তাদের সঠিক পথে চলার দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়াও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়, ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা বলছে উই ওয়ান্ট জাস্টিস। তারা ন্যায়বিচার চায়। এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে কেবল আল্লাহর বিধান কায়েম হলে। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করতে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতো দিন জামায়াতে ইসলামী দেশ সংস্কারের দাবি করেছে। এখন দেশের প্রতিটি মানুষ দেশ সংস্কারের পক্ষে। আর মানুষ মনে করছে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলেই প্রকৃত অর্থে দেশ সংস্কার হবে।