DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

রাজনীতি

‘সংস্কারের জারিগান নয়, এখন দরকার নির্বাচিত সরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, “জনগণ আর সংস্কারের সুর শুনতে চায় না, তারা নির্বাচিত সরকার চায়। কতকাল সংস্কার চলবে? অন্তবর্তীকালীন সরকার দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। জনগণ এখনই একটি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর
Untitled

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, “জনগণ আর সংস্কারের সুর শুনতে চায় না, তারা নির্বাচিত সরকার চায়। কতকাল সংস্কার চলবে? অন্তবর্তীকালীন সরকার দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। জনগণ এখনই একটি নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাজীপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে নগরীর ঐতিহাসিক রাজবাড়ি মাঠে এক বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “জনগণ ধানের শীষে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। ১৭ বছর ধরে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে। এখন সব শোনা শেষ, মানুষ এখন আর অপেক্ষা করতে চায় না। তারা অবিলম্বে নির্বাচন চায়।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু এটি জাতীয় নির্বাচন, নাকি স্থানীয় নির্বাচন—তা পরিষ্কার নয়। জনগণের ধোঁকাবাজি বরদাশত করার সময় নেই। স্বচ্ছ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, “দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। এসব সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ Send অবিলম্বে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আয়োজন।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সংস্কারের নামে সময় নষ্ট করবেন না। ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারও সংস্কারের কথা বলে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে চেয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। এখনো কেউ বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা রুখে দেবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমাদের দমিয়ে রাখার বহু চেষ্টা হয়েছে, কিন্তু আমরা ভয় পাইনি। তারেক রহমান এখন জনগণের নেতা। একাত্তরে এক স্বৈরশাসকের মতো কেউ পালিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া দেশ ছাড়েননি, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তাই বিএনপি রাজপথে থাকবে, দাবি আদায় না করে পিছু হটবে না।

সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, “শেখ হাসিনার আশপাশে থাকা অগণতান্ত্রিক শক্তিগুলো অন্তবর্তীকালীন সরকারকে নিয়ন্ত্রণে রেখে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের বিচার নিশ্চিত না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলন এর সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান, ওমর ফারুক সাফিন, জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন মাস্টার, কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি হেলাল উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুল আলম মাস্টার, গাজীপুর সদর বিএনপির সভাপতি আবু তাহের মুসল্লি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শুরু হয় গাজীপুর জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহীমের কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে।

বক্তারা সবাই একবাক্যে ঘোষণা দেন—বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচনের জন্য রাজপথে থাকবে, জনগণের অধিকার আদায়ে পিছু হটবে না। তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “আঘাত আসুক, আমরা প্রস্তুত।