জাতীয়
বিবিসি রিপোর্ট
বেঁচে নেই সাক্ষীরা আলামতও নষ্ট হয়ে গেছে, কীভাবে প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে ?
দেড় দশক পরে যখন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের মধ্যেই অনেকেই বেঁচে নেই এবং আলামত নষ্ট হয়ে গেছে, সেখানে প্রকৃত ঘটনা কীভাবে এবং কতটুকু সামনে আনা সম্ভব হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

কিন্তু পাঁচই অগাস্টের পট পরিবর্তনের পর অভিযোগগুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও ঘটনার পুনঃতদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনের জোরালো দাবি তোলা হয়।
এ অবস্থায় গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
কিন্তু ঘটনার দেড় দশক পরে যখন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের মধ্যেই অনেকেই বেঁচে নেই এবং আলামত নষ্ট হয়ে গেছে, সেখানে প্রকৃত ঘটনা কীভাবে এবং কতটুকু সামনে আনা সম্ভব হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও কমিশন বলছে যে, নানান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সফলভাবে তদন্তকাজ শেষ করবেন।
"আমাদের বিশ্বাস, আমরা সন্তোষজনকভাবে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবো এবং সত্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো," বিবিসি বাংলাকে বলেন কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান।
কমিশন এমন দাবি করলেও তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্রোহের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য ও তাদের স্বজনরা।
"যারা ঘটনার মধ্যেই ছিল, তাদের সঙ্গে কথা না বললে সেই তদন্ত প্রতিবেদন কীভাবে নিরপেক্ষ হবে?" বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বিচারের মুখোমুখি হওয়া বিডিআর সদস্য ও তাদের স্বজনদের প্ল্যাটফর্ম বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম।
উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ চলাকালে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনে করা মামলায় ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া আরও অন্তত ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
তদন্তের অগ্রগতি কতটুকু?
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা পুনঃতদন্তের জন্য গত বছরের ২৪শে ডিসেম্বর জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। শুরুতে কমিশনের সদস্য সংখ্যা সাতজন বলা হলেও পরে আরও একজন যুক্ত হন।
৯০ দিনের মধ্যে তাদেরকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, যার ৬০ দিন ইতোমধ্যেই পেরিয়ে গেছে।
এই দুই মাসে তদন্তের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানাচ্ছেন কমিশন প্রধান।
"পরিকল্পনা মতোই আমাদের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে," বিবিসি বাংলাকে বলেন কমিশনের সভাপতি মি. রহমান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, ভুক্তভোগী, নিহত সেনা ও বিডিআর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য, তৎকালীন দায়িত্বশীল সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বলে তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
"সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশই এখন অবসরে চলে গেছেন। তারপরও তাদের কাছে আমরা যাচ্ছি," বলেন মি. রহমান।
"মোট কথা, প্রকৃত সত্য বের করে আনার জন্য যার যার সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন এবং যা যা করা প্রয়োজন, সব চেষ্টাই আমরা করছি," বলেন এই কমিশন প্রধান।
ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেসামরিক কর্মকর্তাদেরও সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
"সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কর্তৃপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ করবে কমিশন। ইতোমধ্যে কিছু মন্ত্রণালয়ে তথ্য চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে," বলেন মি. রহমান।
তদন্ত চলাকালে "সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কয়েক জন ব্যক্তি" যাতে বিদেশে চলে যেতে না পারেন, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে ঠিক কতজনের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে এবং তাদের পরিচয় কী, সে বিষয়ে এখনই তথ্য প্রকাশ করতে চান না তারা।
"তদন্তের স্বার্থে এগুলো এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। গোপন রাখতে হচ্ছে," বিবিসি বাংলাকে বলেন তদন্ত কমিশনের প্রধান মি. রহমান।
যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্তের মাধ্যমে 'প্রকৃত সত্য' সামনে আনতে চায় কমিশন।
এ লক্ষ্যে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
"ঘটনাস্থল থেকে যারা প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন, ইতোমধ্যেই তাদের অনেকের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং সামনে গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেকের সাক্ষ্য নেওয়া হবে," বিবিসি বাংলাকে বলেন কমিশনের সভাপতি মি. রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের পাশাপাশি সেই সময়ে কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের বক্তব্যও শুনছে কমিশন।
"তখন কার কী ভূমিকা ছিল, কে কী হুকুম দিয়েছেন, সামরিক অপারেশনে কারা বাধা দিয়েছেন এবং কারা আলামত ধ্বংস করেছেন; সবই আমরা বের করার চেষ্টা করছি," বলেন মি. রহমান।
তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এমনকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পেছনে 'বিদেশি শক্তি' জড়িত ছিল বলেও দাবি করেন অনেকে।
"সেখানে রাজনৈতিক কোনো গোষ্ঠী বা বিদেশি সংস্থার সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, সেটি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করা হচ্ছে," বলেন কমিশন প্রধান।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার পরও বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, এমন ব্যক্তিদেরকেও চিহ্নিত করছেন তারা।
এছাড়া হত্যাকাণ্ড ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ তৎকালীন দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কী বলছেন নিহত সেনাদের স্বজনরা?
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হওয়া পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছিলেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম তদন্ত থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেসময় হুমকি-ধামকিসহ নানান বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
"খুনি তো আর নিজের বিচার করবে না, তাই না? সেজন্য তারা ইনভেস্টিগেশন পুরাটা হ্যাম্পার করে দিয়েছিল," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন পিলখানায় নিহত বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ।
এ অবস্থায় বিচার নিয়েও ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে অসন্তোষ রয়ে গিয়েছিলো।
"আওয়ামী লীগ আমলে যে বিচার করা হয়েছে, সেটা আসলে কোনো সুষ্ঠু বিচার না। কারণ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড যারা, তারা পর্দার আড়ালেই রয়ে গেছে," বিবিসি বাংলাকে বলেন নিহত সেনা কর্মকর্তা কুদরত এলাহী রহমান শফিকের ছেলে সাকিব রহমান।
সেই কারণেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটার পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও বিচার দাবি করেন নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও ওই দাবির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়।
মূলত তাদের দাবির মুখেই গত ডিসেম্বরে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার।
"আমরা মনে করি, এখন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অ্যাকচুয়াল জাস্টিস নিশ্চিত করার একটা বেটার স্কোপ তৈরি হয়েছে," বলেন রাকিন আহমেদ।
নতুন কমিশন প্রকৃত ঘটনা তুলে আনতে পারবে বলেও আশা করছেন তারা।
"এবারের কমিশন বেশ আন্তরিক বলেই এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে। আশা করি তারা প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে পারবে," বিবিসি বাংলাকে বলেন বিদ্রোহের সময় পিলখানা থেকে প্রাণে বেঁচে ফেরা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান।
'তদন্ত একপাক্ষিক হতে যাচ্ছে'
কমিশনের কাজ নিয়ে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও হতাশা প্রকাশ করছেন বিদ্রোহের মামলায় অভিযুক্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য এবং তাদের স্বজনরা।
"কমিশন গঠনের পর দুই মাস পার হয়ে গেছে। অথচ তাদের কেউই আমাদের কারো সঙ্গেই কোনো যোগাযোগ করেনি," বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বিচারের মুখোমুখি হওয়া বিডিআর সদস্য ও তাদের স্বজনদের প্ল্যাটফর্ম বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম।
এ অবস্থায় তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে প্ল্যাটফর্মটি।
"আমি বলবো, ভুক্তভোগী সবপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে প্রতিবেদন জমা দিলে, সেখানে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসবে না। মনে হচ্ছে, তদন্ত একপাক্ষিক হতে যাচ্ছে," বলেন মি. আলম।
দণ্ডপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে কথা না বলার অভিযোগটি সত্য বলে স্বীকার করেছে কমিশন।
"আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিনি, কারণ কমিশনের গেজেটের মধ্যেই বিষয়টা নিষেধ করা হয়েছে। তাদের নিয়ে আমরা কথা বলতে পারবো না," বিবিসি বাংলাকে বলেন তদন্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান।
গত ২৪শে ডিসেম্বর প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপনে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় হওয়া মামলায় ইতোমধ্যে যারা অভিযুক্ত হয়েছেন, তাদের বাইরে অন্য অপরাধীদের চিহ্নিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে তদন্তে প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানান কমিশন প্রধান।
"তদন্তের স্বার্থে যা করা প্রয়োজন সবই আমরা করবো। এর বাইরেও আমাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেও যে কেউ ঘটনার তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করতে পারবেন। সেই সুযোগ আমরা রেখেছি," বলেন মি. রহমান।
কমিশনের সামনে যত চ্যালেঞ্জ
তদন্তের মাধ্যমে বিডিআর বিদ্রোহের 'প্রকৃত ঘটনা' তুলে আনার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী কমিশন। তবে কাজটি করা তাদের জন্য খুব একটা সহজ হবে না।
কেননা, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের মধ্যেই অনেকেই ইতোমধ্যে মারা গেছেন। এছাড়া যারা বেঁচে রয়েছেন, তাদেরও কেউ কেউ স্মৃতিভ্রষ্ট হয়েছেন।
"প্রকৃত ঘটনা বের করে আনার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, যা আমাদেরকে ফেস করতে হচ্ছে," বিবিসি বাংলাকে বলেন তদন্ত কমিশনের প্রধান মি. রহমান।
তিনি আরও বলেন, "সময়ের বিবর্তনে অনেক সাক্ষীর পক্ষে সঠিক তারিখ, সময় ও ঘটনার অনেক খুঁটিনাটি বিষয় স্মরণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।"
গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশে চলে গেছেন। এর মধ্যে গণআন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে গেছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন বিডিআর বিদ্রোহকালে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থাকা জেনারেল মইন ইউ আহমেদ।
"কেন এতগুলো সেনা কর্মকর্তা নিহত হলো, কেন সেটি প্রতিরোধ করা গেল না, সেটি জানার জন্য জেনারেল মইনকে আমাদের খুব দরকার। আবার শেখ হাসিনাও ভারতে পালিয়ে গেছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটাও আরেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি আমরা," বলেন মি. রহমান।
তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা থেমে নেই বলে জানিয়েছে কমিশন।
"সংশ্লিষ্ট কিছু বিদেশি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কমিশন। এটি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দেওয়া হয়েছে," বলেন তদন্ত কমিশনের প্রধান।
এতসব প্রক্রিয়া শেষ করে তিন মাসের মধ্যে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়াটা যে চ্যালেঞ্জিং হবে, সেটা অস্বীকার করছে না কমিশন।
"এত বড় একটা ঘটনার তদন্ত ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করা আমাদের জন্য যে চ্যালেঞ্জিং হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা কাজটি শেষ করার চেষ্টা করবো," বলেন মি. রহমান।