জাতীয়
চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী

চাঁদপুর আল আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে একাডেমীর প্রধান ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানের ডিসিপ্লিন সম্পর্কে আগেই অবগত। কিছু দিন আগে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা দেখলাম এর দ্বারা এটাই প্রমাণ করে এই প্রতিষ্ঠানটি জেলার মধ্যে কতটা মানের। যে উদ্দেশ্যে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে সেই উদ্দেশ্য আমাদের পূরণ করতে হবে। চাঁদপুরের সন্তানরা খুব বেশি মেডিকেল কলেজ এমনকি দেশের যে নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোতে চান্স পায়নি। এক্ষেত্রে আল আমিন একাডেমীকে তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
আল-আমিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মোবারক হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো এরশাদ উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিন সৈকত। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর ও সোসাইটির সেক্রেটারী অ্যাড. শাহজাহান মিয়া, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম। কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি বলেন, ভালো শিক্ষার্থীর চেয়ে ভালো মানুষ হওয়ার প্রতিযোগিতা থাকতে হবে। সন্তানদের ক্লাসে প্রথম স্থান অর্জনের প্রতিযোগিতা না করে নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও ভালো মানুষ হওয়ার আদর্শ অভিভাবকদের নেওয়ার আহ্বান জানান।
উপস্থিত ছিলেন ডাঃ অলিউর রহমান, এডভোকেট সালেহ আহমদ, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাহার মিয়া, চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমির অ্যাড. শাহজাহান খানসহ কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দ।
কলেজের প্রভাষক জয়নাল আবেদীন ও নিয়াজ মোর্শেদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, আপনার সন্তান কিভাবে মেধাবী হতে পারে সেদিকে মনোযোগ দেন। এই মেধাবী হওয়া মানে ক্লাসে ফার্স্ট হওয়া নয় এ প্লাস পাওয়া নয়। এখন ধারণা পাল্টেছে। আমাদের শিক্ষক এবং বাবা মায়ের দায়িত্ব হল সন্তানরা কোন বিষয়ে মেধাবী তা লক্ষ্য রাখা। তাকে সেদিকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মা রা তাদের পছন্দ অপছন্দ সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া। আমাদের সন্তানদের যে নৈতিকতার চর্চা তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আমাদের সমস্যা হলো আমরা আমাদের সন্তানদের ভালো ফলাফল করার জন্য কম্পিটিশন করি কিন্তু ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করিনি দেশ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত মাঝে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন। সবশেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।