জাতীয়
২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে সহযোগিতা
মামুন, বেনজীর, আছাদুজ্জামানসহ পুলিশ ও র্যাবের সাবেক ১০৩ কর্মকর্তার পদক প্রত্যাহার
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন পদমর্যাদার ১০৩ কর্মকর্তার বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক), পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Printed Edition
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন পদমর্যাদার ১০৩ কর্মকর্তার বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ পদক), পিপিএম (রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক) প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তৌছিফ আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ১০৩ কর্মকর্তাকে দেওয়া বাংলাদেশ পুলিশ পদক-২০১৮-এর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)/ বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-সেবা)/ রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)/ রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম-সেবা) নির্দেশক্রমে প্রত্যাহার করা হলো। এই ১০৩ কর্মকর্তার নামও জানানো হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।
যে ১০৩ কর্মকর্তার অনুকূলে দেওয়া পুলিশ পদক-২০১৮-এর বিপিএম ও পিপিএম প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে অবসরে গেছেন, অনেকে পলাতক, কেউ গ্রেফতার, কেউ দুদকের মামলায় গ্রেফতার এবং অনেকে মারা গেছেন।
পদক বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইজিপি, অতিরিক্ত আইজিপি, উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, র্যাবের কর্নেল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল, কমান্ডার ও উইং কমান্ডার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, নিবাস চন্দ্র মাঝি, মো. কামরুল আহসান, খন্দকার গোলাম ফারুক, মো. শফিকুল ইসলাম, দেবদাস ভট্টাচার্য, মো. দিদার আহম্মদ, এম খুরশীদ হোসেন, মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, মোশারফ হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, ওয়াই এম বেলালুর রহমান, মো. মাহাবুবর রহমান, একেএম হাফিজ আক্তার, সরদার রকিবুল ইসলাম, বেনজীর আহমেদ, জামিল আহমদ, মো. মোজাম্মেল হক, চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ, এবিএম মাসুদ হোসেন, মো. সাজ্জাদুর রহমান, মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, শাহ মিজান শাফিউর রহমান, মো. বরকতুল্লাহ খান, জিহাদুল কবির, মঈনুল হক, মো. ইলিয়াছ শরীফ, নুরে আলম মিনা, মো. আনোয়ার হোসেন খান, মো. শাহ আবিদ হোসেন, টুটুল চক্রবর্তী, মো. সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, শেখ রফিকুল ইসলাম, জয়দেব চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মান্নান মিয়া, মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, সঞ্জিত কুমার রায়, মো. শহিদুল্লাহ, মো. আলী আশরাফ ভুঞা, এসএম শফিউল্লাহ, মো. ইকবাল হোসেন, টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন খান, মোহা. মনিরুজ্জামান, মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ ছাড়া ২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সুপারদের (এসপি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার পাশাপাশি অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।