জাতীয়
জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বিশেষ সাক্ষাৎকা
বছর শেষে নির্বাচনের ইঙ্গিত ড. ইউনূসের
গণতন্ত্রের পথে নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
Printed Edition
স্টাফ রিপোর্টার: গণতন্ত্রের পথে নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে চলতি বছরের শেষদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত বুধবার জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এনএইচকে) দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা যখন এসেছিলাম তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমার মনে হয় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত একটা সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সবকিছুই বিধ্বস্ত ছিল। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন নির্বাচিত নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অত্যন্ত নিরাপদ এবং শক্তিশালী ভিত্তি থাকবে। দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন প্রধান উপদেষ্টা। গত বছরের আন্দোলনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
ড. ইউনূস বলেন, তরুণরা যা করতে চায় তা হলো তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে তা জানিয়ে দেওয়া। তাই আমাদের মনে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই। দেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি জানান, তাদের প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ বাংলাদেশি তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
এর আগে জানুয়ারি মাসে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে ‘আ কনভারসেশন উইথ মুহাম্মদ ইউনূস’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যদি আমরা সংক্ষিপ্ত ধরনের সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করি, সেক্ষেত্রে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের টার্গেট করেছি। কিন্তু যদি জনগণ বলে, ‘না না, আমরা বড় পরিসরে সংস্কার চাই, সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজন আরও ছয় মাস। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা স্বল্প নাকি বড় ধরনের সংস্কার চান। বড় ধরনের সংস্কার হলে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি, আর ছোট ধরনের সংস্কার হলে এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন হবে। সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি।