শিক্ষাঙ্গন
আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
এসময় শিক্ষার্থীরা, "বাকশালের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; আওয়ামীলীগের চামড়া তুলে নেবো আমরা; ছাত্রলীগের চামড়া তুলে নেবো আমরা; যুবলীগের চামড়া তুলে নেবো আমরা; ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; স্লোগান দেন৷
![IMG-20250213-WA0001](https://static.dailysangram.com/images/IMG-20250213-WA0001_vjK0VJ4.original.jpg)
গণহত্যাকারী দল আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার ( ১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা, "বাকশালের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; আওয়ামীলীগের চামড়া তুলে নেবো আমরা; ছাত্রলীগের চামড়া তুলে নেবো আমরা; যুবলীগের চামড়া তুলে নেবো আমরা; ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; স্লোগান দেন৷
শাখা শিবিরের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামিলীগ। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা একটু নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি একদল মানুষ উঠে পড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য। আমরা বলে দিতে চাই কোন প্রকার তালবাহানা আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির হোসেন বলেন, বহু মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন হয়েছে৷ কিন্তু এই হতাহতের জন্য আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ অনুতাপ নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলে দিতে চাই অবিলম্বে এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন এবং প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন।
সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, আওয়ামীলীগ শুধু এই চব্বিশেই ফ্যাসিস্ট হয়নি, তারা ১৯৭৫ এ ও ফ্যাসিস্ট ছিল। পরপর তিনটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। আমরা চাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, গণহত্যার পরে যে অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে তাদের প্রধান দায়িত্ব হওয়া উচিত ছিল আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা কিন্তু তারা তা করেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ হরতালের কর্মসূচি দেয়, লিফলেট বিতরণ করে, গুপ্ত হামলা চালায়। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই আপনারা যদি শহিদদের রক্তের সাথে বেইমানি না করতে চান এবং গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করেন তাহলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেন।