শিক্ষাঙ্গন
ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ
আটককৃত সুমন কমলনগরের চরফলকন এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হল শাখার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন সুমনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার আগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা পরিষদ এলাকায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং পরে পুলিশে হস্তান্তর করে।
আটককৃত সুমন কমলনগরের চরফলকন এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, হেলাল উদ্দিন সুমন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল শাখার সহ-সভাপতি। ঘটনার সময় তিনি উপজেলা পরিষদ এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাকে চিনতে পেরে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
পরবর্তীতে তাকে থানায় নেওয়া হয়। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে যে, তিনি ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পতনের পর ৫ আগস্ট থেকে পলাতক ছিলেন হেলাল উদ্দিন সুমন। তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলার ঘটনায়ও সম্পৃক্ত ছিলেন।
এছাড়া, ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় চার শিক্ষার্থী নিহত ও বহুজন গুলিবিদ্ধ হন, যেটির সাথেও তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
এর আগেও সুমনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামকে শিবির আখ্যা দিয়ে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাকে মারধর করে হলের চারতলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়, এতে তার দুই পা ভেঙে ১৩ টুকরো হয়ে যায়। ওই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা হলেও তিনি কোনো শাস্তির মুখোমুখি হননি।
সদর থানার ওসি মো. আবদুল মোন্নাফ জানিয়েছেন, হেলাল উদ্দিন সুমনের বিরুদ্ধে ৪ আগস্টের ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও চার শিক্ষার্থী হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।