DailySangram-Logo

অপরাধ

গাজীপুরে ফালান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, চার আসামি গ্রেফতার

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ বারতোপা জোড়াদিঘী এলাকায় আলোচিত অটোরিকশাচালক ফালান হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ বারতোপা জোড়াদিঘী এলাকায় আলোচিত অটোরিকশাচালক ফালান হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাজীপুর জেলা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তদন্তের ভিত্তিতে পিবিআই ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি চারজনকে গ্রেফতার করে:গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলোঃময়মনসিংহের ভালুকা থানার কনসেরকুল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ সাগর (২২) বর্তমানে সে শ্রীপুরের দরগারচালা এলাকায় থাকত , টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এলাকার জোনকাই গ্রামের আবুলে ছেলে মোঃ শাহিন (২০) বর্তমানে সে শ্রীপুরের দরগারচালা এলাকায় বসবাস করত ,ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে মোঃ শুক্কুর আলী (৪৪)ও একই এলাকার সোনাখালি গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে মোঃ আরিফ হোসেন (১৮)।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

অটোরিকশাচালক ফালান মিয়া (২৭) গত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রাতে প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা নিয়ে বের হন। তবে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে শ্রীপুর থানার দক্ষিণ বারতোপা এলাকার গজারি বনের নিচু জায়গা থেকে এক অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, যা পরে তার স্ত্রী শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় নিহত ফালানের স্ত্রী মোসাঃ রিনা আক্তার ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৮, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড)। পরবর্তীতে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই গাজীপুর জেলা অধিগ্রহণ করে এবং দ্রুত তদন্ত শুরু করে

হত্যার পেছনের রহস্যঃ

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করেছে, তারা ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১:৩০ টায় মাওনা চৌরাস্তা থেকে ফালানের অটোরিকশা ভাড়া নেয়। এরপর তারা তাকে জোড়াদিঘী গজারি বনের নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর তারা ফালানের মোবাইল ফোন ও অটোরিকশার ব্যাটারি ছিনতাই করে। পরবর্তীতে ব্যাটারিগুলো ২৮,০০০ টাকায় ভাঙারির দোকানদার শুক্কুর আলীর কাছে বিক্রি করা হয়।

আদালতে স্বীকারোক্তি ও পলাতক আসামি

১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারকৃত আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। তবে মামলার অন্যতম পলাতক আসামি নাইমকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পিবিআই পুলিশ সুপারের বক্তব্যঃ

পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন,

"এটি একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পিবিআই দ্রুততম সময়ে ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"মামলার

তদন্তকারী কর্মকর্তা:পিবিআই গাজীপুর জেলার

উপ-পুলিশ পরিদর্শক সনজিৎ বিশ্বাস।

পিবিআই গাজীপুর জেলা এই মামলার দ্রুত তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।