গ্রাম-গঞ্জ-শহর
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ বৈঠকে মুহাম্মদ শাহজাহান
আওয়ামী অপশক্তির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দেশকে অশান্ত করতে আওয়ামী অপশক্তি নানান ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। জাতির ঐক্যের মাধ্যমে এটিকে প্রতিহত করতে হবে।
Printed Edition
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, দেশকে অশান্ত করতে আওয়ামী অপশক্তি নানান ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। জাতির ঐক্যের মাধ্যমে এটিকে প্রতিহত করতে হবে।
গত রোববার সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের দেওয়ানবাজারস্থ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি (বিআইএ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মপরিষদ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমান, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আবু বকর ছিদ্দিক, প্রফেসর সাইফুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা জাকির হোসেন, আমির হোছাইন, ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ, হামেদ হাসান ইলাহী প্রমুখ।
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানবতারিরোধী অপরাধ ও গণহত্যায় দায়ীদের বিচার নির্বাচনের পূর্বে নিশ্চিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থে নির্মিত সিসিটি ও এনসিটি টার্মিনাল, সুসজ্জিত কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্টসহ বন্দর ও দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে দেশী-বিদেশী স্বার্থন্বেষী মহলের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। ইতিপূর্বে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (চঈঞ) চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থে নির্মিত ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সৌদী প্রতিষ্ঠান জঝএঞও এর নামে ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে অসম চুক্তির মাধ্যমে ২২ বছরের জন্য বরাদ্দ নিয়েছে। যে চুক্তি এখনো অপ্রকাশিত। প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে যতটুকু জানা যায়, প্রতি টিইউস মাত্র ১৮ ডলার প্রাপ্তি সাপেক্ষে বছরে ২.৫ লাখ টিইউস কন্টেইনার দেয়ার শর্তে বন্দর কর্তৃপক্ষ চুক্তি স্বাক্ষর করে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতি টিইউস কন্টেন্টইনার হ্যান্ডলিং করে নিট আয় হয় প্রায় ৫০ ডলার। শুধু তাই নয় ২৫ লক্ষ টিইউসের অতিরিক্ত যা হ্যান্ডলিং হবে তার মুনাফা হবে ১৮ ডলারেরও কম এবং দেশ থেকে পাচার হবে কোটি কোটি ডলার। যার সুবিধাভোগী হবে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পরিবার ও তার পদলেহনকারীরা। চঈঞ টার্মিনাল বন্দরের অর্থে নির্মিত হলেও সেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের কোন শ্রেণি-পেশার শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজ করার সুযোগ রাখা হয়নি। ডক, মার্চেন্ট, স্টিভিভোর, স্টাফ শিপক্রেন অপারেটর, প্রাইম মুভার শ্রমিক, শিপ ওয়াচম্যান, ল্যান্সিং-আনলেসিং শ্রমিক, কেস্টার হেজ শ্রমিকসহ কোন শ্রেণীর কার্ডধারী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষ শ্রমিক কর্মচারীদের কর্মহীন সিসিটি ও এনসিটি টার্মিনাল চঈঞ এর মতো করে দেশী-বিদেশী মাফিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।