গ্রাম-গঞ্জ-শহর
সাদা সোনাখ্যাত হিমায়িত চিংড়ি শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে
দেশের সাদা সোনাখ্যাত রফতানিমুখী হিমায়িত চিংড়ি শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত ৭ মাসে আগের অর্থবছরের তুলনায় রফতনি বেড়েছে ৪৯২ কোটি ৭ লাখ টাকা বেশি। এতে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।
Printed Edition
দেশের সাদা সোনাখ্যাত রফতানিমুখী হিমায়িত চিংড়ি শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত ৭ মাসে আগের অর্থবছরের তুলনায় রফতনি বেড়েছে ৪৯২ কোটি ৭ লাখ টাকা বেশি। এতে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা। খুলনাঞ্চলের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিমায়িত চিংড়ির রফতানি বাড়ায় আগের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা। মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ খুলনার উপ-পরিচালক মো. আলফাজ উদ্দীন শেখ জানান, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) খুলনাঞ্চল থেকে হিমায়িত চিংড়ি রফতানি হয়েছে ১৩ হাজার ১৯ টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে একই সময় চিংড়ি রফতনি হয় ১০ হাজার ৩৯৯ টন। যার বাজার মূল্য ছিল ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গত ৭ মাসে আগের অর্থবছরের তুলনায় রফতনি বেড়েছে ৪৯২ কোটি ৭ লাখ টাকা বেশি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের সাদা সোনাখ্যাত গলদা ও বাগদা চিংড়ি সনাতন, আধানিবিড়সহ নানা পদ্ধতিতে চাষ হয়। গত কয়েক বছর বিদেশে চিংড়ির বাজার দখল করে আছে ‘ভেনামি’ নামে এক ধরনের হাইব্রিড চিংড়ি, যা খুলনাঞ্চলেও বর্তমানে চাষ হচ্ছে।
রফতানিকারকরা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখে চিংড়ি শিল্প। ইউরোপের দেশগুলোতে চিংড়ি ও অন্যান্য মাছের চাহিদা এবং মূল্য কমে গেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা ও মূল্য কমে যাওয়ায় রফতানির ওপর প্রভাব পড়েছে। বিদেশের ক্রেতারা সময় মতো মূল্য পরিশোধও করেন না। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে অনেকেই চিংড়ি রফতানি বন্ধ রেখেছিলেন। পাশাপাশি ভাইরাসের কারণেও খুলনাঞ্চলে চিংড়ি উৎপাদন কমেছে।