গ্রাম-গঞ্জ-শহর
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে --দেলাওয়ার হোসেন
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় চাকরির জন্য মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে, টাকার বিনিময়ে নয়। ঠাকুরগাঁওকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত করতে আমরা কাজ করব। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ গঠনে কাজ করব। আল্লাহর সাহায্যে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।
Printed Edition

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে প্রথমেই হিন্দু সহ অন্য ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য মোঃ দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরাই অন্য ধর্মের উপাসনালয় ও বাড়িঘর পাহাড়া দিয়েছি। আমরা ক্ষমতায় গেলে তাদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। গতকাল সোমবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পাটিয়াডাঙ্গী বাজার ও দেবীগঞ্জ বাজারে জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
দেলাওয়ার হোসেন আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে কেউ চাঁদাবাজির শিকার হবে না, ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধার সম্মুখীন হবে না। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় চাকরির জন্য মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে, টাকার বিনিময়ে নয়। ঠাকুরগাঁওকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত করতে আমরা কাজ করব। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ গঠনে কাজ করব। আল্লাহর সাহায্যে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আমি নিজেও টানা সাড়ে চার বছর কারাগারে কাটিয়েছি। কিন্তু আমরা আপস করিনি, আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। ঠাকুরগাঁওয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া কোনো জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। ঠাকুরগাঁওয়ের যুবসমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা জরুরি। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারি কফিল উদ্দিন আহাম্মদ, রুহিয়া থানা আমীর আব্দুর রশিদ এবং রাজাগাঁও ইউনিয়ন সভাপতি এ টি এম শাহজামাল প্রমুখ।