গ্রাম-গঞ্জ-শহর
শান্তিগঞ্জে রাজগড়ি জলমহাল পানিশূন্য করে মৎস্য নিধনের পাঁয়তারা
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী চক্র মৎস্য আইনের নীতিমালা তোয়াক্কা না করে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের রাজগড়ি জলমহালে ডিজেল চালিত পাম্প বসিয়ে পানিশূন্য করে মৎস্য নিধনের পায়তারা করছে। জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরলে একদিকে যেমন মাছের বংশ ধ্বংস হবে অপরদিকে হাওরের কৃষিজমি পড়বে হুমকির মুখে।
শান্তিগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী চক্র মৎস্য আইনের নীতিমালা তোয়াক্কা না করে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের রাজগড়ি জলমহালে ডিজেল চালিত পাম্প বসিয়ে পানিশূন্য করে মৎস্য নিধনের পায়তারা করছে। জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরলে একদিকে যেমন মাছের বংশ ধ্বংস হবে অপরদিকে হাওরের কৃষিজমি পড়বে হুমকির মুখে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজগড়ি জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সম্প্রতি শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন গনিগঞ্জ গ্রামের কৃষক ফখরুল ইসলাম। অভিযোগে বলা হয়, পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ, বাবনিয়া, কুমড়িআইল, তেহকিয়া, গ্রামের হাজার হাজার মানুষ রাজগড়ি বিল পাড়ের বাসিন্দা এবং এই বিল কেন্দ্র করে এই বিশাল জনপদটি গড়ে উঠেছে। এলাকার শত শত কৃষক জমি হাল চাষের জন্য রাজগড়ী বিলের পানি ব্যবহার করেন এবং পাশাপাশি কৃষি ও সেচ কাজে ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু একটি কুচক্রি মহল পেশি শক্তি ব্যবহার করে এলাকাবাসীর নিষেধ অমান্য করে মাছ ধরার জন্য সেচ মেশিন দিয়ে নদীটি শুকিয়ে ফেলতেছে এবং কিছু অংশ ইতোমধ্যে শুকিয়ে ফেলেছে যা সরকারী জলমহাল রক্ষণাবেক্ষণ আইনের পরপিন্থী। তাই এলাকাবাসীর স্বার্থে এবং জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে উক্ত রাজগড়ী জলমহালটি পানিশূন্য করে মাছ না ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।