গ্রাম-গঞ্জ-শহর
ফ্যানে ঝুলছিল স্বামী, মেঝেতে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ
সকাল থেকে সোহাগ-মৌ দম্পতির ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় অন্য ভাড়াটিয়ারা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে বিকেলে আবারও চেষ্টা করা হয়। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেওয়া হয়।
![murder_20250208_221945026](https://static.dailysangram.com/images/murder_20250208_221945026.original.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর: গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি ভাড়া বাসা থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাইমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সোহাগ হোসেন (২৫) ও মৌ আক্তার বৃষ্টি (২০)। সোহাগ সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার ধাপ তেঁতুলিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে, আর মৌ একই জেলার সান্দুরিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে সোহাগ-মৌ দম্পতির ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় অন্য ভাড়াটিয়ারা ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে বিকেলে আবারও চেষ্টা করা হয়। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় সন্দেহ হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় দেখা যায়, মেঝেতে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে আছে মৌ আক্তার বৃষ্টির লাশ, আর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল তার স্বামী সোহাগ হোসেনের নিথর দেহ।
মৌ আক্তার বৃষ্টির চাচা রতন মিয়া জানান, দুই বছর আগে সোহাগ ও মৌয়ের বিয়ে হয়। মৌ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন, আর সোহাগ কোনাবাড়ীর ব্র্যাক এনজিওতে অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসের ১ তারিখে তারা নতুন বাসায় ওঠেন।
তিনি আরও বলেন, "কেন এমন ঘটনা ঘটালো, কিছুই বুঝতে পারছি না।"
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে পরে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান করছে পুলিশ।
সিআইডির ক্রাইম টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।