DailySangram-Logo

রাজধানী

ছুটির দিনে জমে উঠলো বই মেলা

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমে উঠেছে অমর একুশের বইমেলা। লেখক পাঠকের পদচারণায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সব বয়সী মানুষের পদচারণায় জমজমাট ছিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ

Printed Edition

ইবরাহীম খলিল : সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জমে উঠেছে অমর একুশের বইমেলা। লেখক পাঠকের পদচারণায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সব বয়সী মানুষের পদচারণায় জমজমাট ছিল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। ব্যবসায়ীরা অবশ্য এই প্রত্যাশাতেই থাকেন যে, কবে আবার আসবে ছুটির দিন। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন ছিল শিশু প্রহর। এদিন সকাল থেকেই শিশুদের গুটি গুটি পায়ের প্রচারণায় মূখর থাকে একুশের বইমেলা প্রাঙ্গণ। এই রেশ থাকে সারাদিন। সরব হয়ে জমে উঠে বইমেলা। অফিস ছুটি থাকায় অনেকেই ঘুরাফেরার জন্য এই বই মেলাকেই বেছে নেন।

মেলার প্রথম সপ্তাহটা কেটে যায় পাঠকের বই পছন্দ করতে করতে বইয়ে হাত বুলাতে বুলাতেই। ছুটির দিন মূলত কেনাকাটা শুরু হয়। এটা বেশি হয় শিশু প্রহরকে কেন্দ্র করেই। কারণ শিশুকে বই ছাড়া মেলা থেকে ফেরানো যায় না। তাকে তার পছন্দের কিনে দিতে হবে এই মনোস্থিও করেই বাসা থেকে বের হন মা-বাবারা। এরপর নিজের জন্য বই কেনা।

একুশের বই মেলায় আসাতে দুটি লাভের কথা জানান কয়েকজন। এক হলো বইমেলা দেখা হলো, কেনা হলো। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরাটাও হয়ে গেল। বাংলা একাডেমিতে এলে বহু পুরণো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। গল্প আড্ডায় কখন যে কেটে যায় সময় তা বুঝে উঠা যায় না। কথাটা বললেন সুমি-কাউসার দম্পতি। তারা দুজনেই পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারুণ্যের বড় একটা সময় কেটেছে এসব এলাকায়।

গতকাল সকাল বিকাল দুইবেলাতেই মানুষের সমাগম দেখা গেল একুশের বইমেলায়। এদিন সব বয়সের মানুষের পদচারণায় জমে ওঠে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যান। বিকেলের লাল সূর্য তখন হেলে পড়েছে পশ্চিম আকাশে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অংশের গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই লাইনে দাঁড়াতে হলো। বিশাল লম্বা সেই লাইন। পাঠক পাঠিকাদের উল্লাসে জমজমাট হয়ে উঠে আশাপাশের পরিবেশ। বিশেষ করে এদিন তরুণ -তরুণীদের হাসি এক অন্যরকম আবহ সৃষ্টি করে।

যারা প্রথমবার মেলাতে আসে তাদের পড়তে হয় নষ্টালজিয়াতে। লাইন ঠেলে ঠেলে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলে হারিয়ে যেতে হয় জনস্রোতে। মেলায় আগতরা জানালেন, শুক্রবার হিসেবেও স্টলে স্টলে ভিড়। কেউ বই কিনছেন। কেউ নেড়েচেড়ে দেখছেন। কোনো কোনো লেখকের বই স্টক আউট হয়ে যাচ্ছে।

বিকেলবেলায় থরে থরে বই আসারা দৃশ্যটা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টলে ব্ই আনার ব্যস্ততা জানান দিলো পাঠক বই কেনা শুরু করেছেন। এজন্য স্টলের মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধির ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে আজ শনিবার সকালে থাকবে শিশু প্রহর। আজও শিশুরা নেচে গেয়ে মেতে থাকবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। কিনে নিবে নতুন বই। আবদারে আবদারে ভরে দেবে সাথে থাকা বাবা মাকে। তরুণরাও কম যান না। তারাও বই কেনার জন্য ছুটির দিনকে বেছে নেন। বেসরকারী চাকুরীজীবী শহিদুল ইসলাম জানালেন, যেহেতু ছুটির দিনেই বাংলা একাডেমিতে আসা হয়, এদিন্নেই বইগুলো কিনে নেওয়া হয়। অন্যদিন সুযোগ পাওয়া যায় না আর আমার মতো মানুষের বই কেনার জন্য আসাও হয়ে ওঠে না। আমার মতো অনেকেই আছেন, বই কেনার জন্য এই ছুটির দিনকেই বেছে নেন।