রাজধানী
খুলনায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিনিধি সম্মেলন
শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে ----অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সরকারের অন্যান্য সেক্টরের মতো শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে গণবিপ্লবের স্বপ্ন পূর্ণাঙ্গ সফল হবে না।
Printed Edition
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সরকারের অন্যান্য সেক্টরের মতো শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে গণবিপ্লবের স্বপ্ন পূর্ণাঙ্গ সফল হবে না। হবে না বৈষম্য দূর। তিনি বলেন, দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমজীবী মানুষের এই দেশে প্রতিনিয়ত দারিদ্র্যতার সাথে লড়াই করে জীবন চালিয়ে যায়। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করেও তাদের অনেকের ঘরে বিভিন্ন সময় চুলায় আগুন জ্বলে না । কারণ, শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাওনা থেকে সব সময় বঞ্চিত থাকে। আবার নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেককে রাজপথে জীবন দিতে হয়। এই জন্য প্রতিটি সেক্টরে ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যা শ্রমিকদের দুর্দশা দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা মহানগরী ও জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে নগরীর খালিশপুর শিল্পাঞ্চলস্থ মহানগরী ও জেলার নিজস্ব কার্যালয় চত্বরে রেজিস্টার ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামান, জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিমুদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাস্টার শফিকুল আলম।
নায়েবে আমীর আরও বলেন, শ্রমিকদের দ্বারা গঠিত একটি আইনস্বীকৃত সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায়, জীবনামান উন্নয়নে, জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা বিধানে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ বজায় রাখার ক্ষেত্রেও ট্রেড ইউনিয়ন সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করে। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ শ্রমিক। তাদের সমস্যা দুনিয়াবি কোন মতবাদ দিয়ে সমাধান সম্ভব হবে না। প্রতিটি মতবাদের ত্রুটি রয়েছে। শ্রমিকসহ সমাজ-রাষ্ট্রের এই সমস্যার সমাধান কেবল মাত্র আল কুরআনে নিহিত রয়েছে। আল্লাহর বিধান ছাড়া দুনিয়ার কোন সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হবে না।
খুলনায় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আমীর/সভাপতি সম্মেলন
খুলনা ব্যুরো : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, দেশের প্রশ্নে, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না। রাজনীতি করি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য। জামায়াতে ইসলামী শুধু জামায়াতের কর্মীদের ভালোবাসে না সমগ্র দেশের মানুষকে ভালোবাসে, শুধু মুসলিমদের ভালোবাসে না সকল ধর্মের মানুষকে ভালোবাসে। এটাই জামায়াতে ইসলামী। মানুষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার পদত্যাগ চেয়েছে কিন্তু আল্লাহ তায়ালা তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছেন। ইতিহাস কোন জালেমকে ক্ষমা করে না। ফ্যাসিবাদ কখনো টিকে থাকতে পারে না। তাদের নিকৃষ্ট পতন হয়। পুলিশের আতঙ্কে আমাদের গাড়ির জানালা বন্ধ করে চলতে হতো। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা আজ তাদেরকে বিতাড়িত করেছেন, আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। তাই সর্বাবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের জন্য বিরোধীদের পক্ষ থেকে আমাদের উপর আঘাত আসবে, আমাদেরকে আহত করা হবে এবং প্রয়োজনে শহীদ হতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। তারপরও আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা করে ইসলামী আন্দোলনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমাদেরকে জান ও মালের কুরবানি দিয়ে দ্বীন কায়েমের রাস্তায় টিকে থাকতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আমীর/সভাপতি সম্মেলন-২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম। এ সময় জেলা কর্মপরিষদ সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, আশরাফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।