রাজধানী
অপারেশন ডেভিল হান্ট
তৃতীয় দিনে গ্রেফতার ১৭৭৫ ॥ অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার
পুলিশ সদরদফতর জানিয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের সময় দুটি পিস্তল, একটি এলজি, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলী, পাঁচটি কার্তুজ, দুটি চাপাতি, ছয়টি দা/রামদা, ১৩টি চাকু/ছোরা, দুটি কুড়াল, একটি করাত, তিনটি হাতুড়ি, দুটি প্লাস, দুটি বাটাল ও দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
Printed Edition
যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্টের তৃতীয় দিনে সারাদেশে ১৭৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্ট মূলে ১১৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অভিযানে গ্রেফতারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সদরদফতর জানিয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের সময় দুটি পিস্তল, একটি এলজি, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলী, পাঁচটি কার্তুজ, দুটি চাপাতি, ছয়টি দা/রামদা, ১৩টি চাকু/ছোরা, দুটি কুড়াল, একটি করাত, তিনটি হাতুড়ি, দুটি প্লাস, দুটি বাটাল ও দুটি লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ গিয়ে দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বোঝানো হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান, যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।