DailySangram-Logo

রাজধানী

শাহবাগে চাকরিপ্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ জলকামান

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।

স্টাফ রিপোর্টার
Printed Edition

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বাতিল হওয়া নিয়োগ ফিরে পাওয়ার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এরপরও আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে সরে গিয়ে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক দফায় তাদেরকে লাঠিচার্জের পাশাপাশি জলকামানও ব্যবহার করেছে। আন্দোলনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টাও করেন তারা।

আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, তাদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেওয়া হয়েছে, সেটি 'বৈষম্যমূলক'। বর্তমান সরকারই তাদের নিয়োগের সুপারিশ করে আবার তা বাতিল করেছে। সাব্বির সাদেক নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এখান থেকে সরব না। এদের একজন তালুকদার পিয়াস বলেন, নিয়োগ দিয়েও পরে আমাদের ৬ হাজার ৫৩১ জনের ফল বাতিল করেছে আদালত। আমরা নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে শাহবাগ অবরোধ করেছি।

এদিকে লাঠিপেটা, জলকামান ও বলপ্রয়োগ করেও শাহবাগে আন্দোলনকারীদের দমাতে পারেনি পুলিশ। সবশেষ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটের দিকে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস ছোড়া হয়। এসময় আন্দোলনকারীদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘পুলিশের হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এর আগে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে আন্দোলনকারীরা ফের জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। তাদের দাবি, প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৫৩১ জনের অনতিবিলম্বে যোগদান নিশ্চিত করা এবং এনটিআরসিএ'র নিবন্ধিত (প্রথম-১২তম) নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষকদের নিয়োগ নিশ্চিত করা।

এনটিআরসিএ'র নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগচক্রে (প্রথম-পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে) আবেদনকৃতদের বৈষম্যের শিকার ও সিস্টেম দুর্নীতিজনিত কারণে তারা নিয়োগবঞ্চিত হয়েছেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম থেকে ১২তম ব্যাচে উত্তীর্ণ যোগ্য নিবন্ধিত শিক্ষকদের ডাটাবেজ পৃথক করে এন্ট্রি লেভেল বয়স বিবেচনা করে এবং বিগত ১৭ অক্টোবর ও ২৩ ডিসেম্বরে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে এপিএস সাব্বির আহমেদের প্রতিশ্রুতি অবিলম্বে বাস্তবায়ন চান তারা। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক সকল জটিলতা নিরসন করে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা।