বাংলাদেশ
লবণ শিল্পকে বাচাতে ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করুন - হামিদুর রহমান আযাদ
বাংলাদেশের একমাত্র স্বয়ং সম্পুর্ন লবণ শিল্প কে বাচাতে হলে মাঠ পর্যায়ে লবণের মূল্য নির্ধারণ করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ও শিল্প কারখানার লবণের চাহিদা মেটাচ্ছে কক্সবাজার জেলার উৎপাদিত লবণ।
Printed Edition
বাংলাদেশের একমাত্র স্বয়ং সম্পুর্ন লবণ শিল্প কে বাচাতে হলে মাঠ পর্যায়ে লবণের মূল্য নির্ধারণ করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ও শিল্প কারখানার লবণের চাহিদা মেটাচ্ছে কক্সবাজার জেলার উৎপাদিত লবণ।
গতকাল শনিবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, অতিব গুরুত্বপূর্ন লবণ শিল্প আজ ধ্বংসের পথে। প্রান্তিক পর্যায়ে লবণের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় লবণ চাষিরা হতাশ। এভাবে চলতে থাকলে লবণ চাষিরা লবণ উৎপাদন থেকে সরে যাবে ফলে দেশ লবণ আমদানি নির্ভর হয়ে পড়বে। হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আমাদের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের কারনে একটি স্বয়ং সম্পুর্ন শিল্প যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে জাতির কাছে জবাব দেহি করতে হবে।
হামিদুর রহমান আযাদ আরো বলেন, বাংলাদেশে লবণের চাহিদার সিংহ ভাগ আসে, কক্সবাজারের মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া,চকরিয়া, ঈদগাঁ,টেকনাফ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কিছু অংশ। গতবছর মাঠ পর্যায়ে লবণের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এই বছরের শুরুতেই চাষিরা অনেক আশায় কোমর বেঁধে লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠে নামে কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস উৎপাদনের শুরুতেই অস্বাভাবিক ভাবে মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম কমতে থাকায় প্রান্তিক চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এবং তাদের পরিবারে চরম হতাশা বিরাজ করছে। হামিদুর রহমান আযাদ এক বিবৃতিতে বলেন, উচ্চ দামে লবণের জমির লাগিয়ত, পলিথিনের উচ্চ মূল্য ও শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি সহ প্রতিমন সাদা লবণ উৎপাদন খরচ ৩৫০ টাকার উপরে কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বর্তমান চাষিরা পাচ্ছে ২০০-২২০ টাকা, এতে করে প্রান্তিক চাষিরা চরম হতাশা ও উদ্ভিগ্ন হয়ে পড়েছে।
হামিদুর রহমান আযাদ লবণের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, প্রান্তিক লবণ চাষিদের সহজ শর্তে ঋন, লবণের সঠিক মাপ নির্ধারণ, প্রান্তিক চাষিদের ডাটাবেইজ তৈরি করে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প মুল্যে পণ্য বিতরণ, লবণ উৎপাদনের উপকরণ সমুহের মূল্য কমানো, মাঠ পর্যায়ে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি ভাবে লবণ ক্রয় সহ কক্সবাজার আলাদা লবণ বোর্ড গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।