ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

রাজশাহীতে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের মৃত্যু

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামক) হাসপাতালে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ৪ জুন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুন) রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা সাইফুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে ডা. সাইফুল ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, গেল ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে সাতজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্য আটজন মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজনের বাড়িই রাজশাহীতে, দুইজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আর একজনের বাড়ি নাটোরে। এছাড়া হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে চারজন রাজশাহীর ও চারজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, এ ১১দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১১ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১০৭ জন। এর মধ্যে ৬৩ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে ১ ও ২ জুন সাতজন করে ১৪ জন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন আটজন, ৬ জুন ছয়জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন আটজন, ৯ জুন আটজন, ১০ জুন ১২ জন এবং সর্বশেষ ১১ জুন ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ২৯৭ জন। অথচ শয্যা সংখ্যা ২৭১টি। অর্থাৎ ধারণ ক্ষমতার বেশি সংখ্যক রোগী বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৪২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১০ জন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁ ২৪ জন, পাবনার ৩ জন, কুষ্টিয়ার ৩ জন। এছড়া হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন আরও ১৮ জন।

অপরদিকে, করোনার ‘নতুন হটস্পট’ রাজশাহীতে একদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে সংক্রমণের হার। বৃহস্পতিবার দু'টি ল্যাবে রাজশাহীর ৫৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২৩৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। গত রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল দু'টি পিসিআর ল্যাবর নমুনা পরীক্ষার পর এ ফল আসে। পরীক্ষা অনুযায়ী সংক্রমণের হার ৩৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীরা অনেক দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। আক্রান্ত হওয়ার একপর্যায়ে যখন দেখতে পাচ্ছেন আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না তখন হাসপাতালে আসছেন। রোগীরা দেরি করে ফেলায় মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। বর্তমানে করোনা রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে চিকিৎসা দিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে। তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ